ফিচার ফোন
ফিচার ফোন অনলাইনে কিনুন - সেরা দাম
কম দামে ভালো ফোন চাইলে এখন দারাজ থেকে অনলাইনে ঘরে বসে খুব সহজেই কিনতে পারবেন বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের আধুনিক সব ফিচার ফোন। বিশাল পণ্যতালিকা, পণ্যের বিস্তারিত তথ্য ও নিরাপদ লেনদেনের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশে ক্রমেই অনলাইন শপিং হয়ে উঠছে সহজ থেকে সহজতর। প্রযুক্তির আধুনিকায়নের এই দিনে স্মার্টফোনের পাশাপাশি যেকোন ব্যবহারকারী এখন হাতে রাখতে চান জনপ্রিয় কোন ফিচার ফোন।
ফিচার ফোন ই মুলত মোবাইল ফোনকে পরিচিত করেছে
ফিচার ফোনই মূলত মোবাইল ফোনকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিয়েছে। মোবাইল ফোনের ধারণা মানুষ পেয়েছে ফিচার ফোনের হাত ধরেই। মোবাইল ফোনের আসার শুরু থেকে ল্যান্ড লাইন টেলিফোন সেট থেকে মানুষকে মোবাইলের দিকে আকৃষ্ট করেছে ফিচার ফোন।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিগত এক থেকে দেড় দশক যাবৎ ফিচার ফোনই ছিল মোবাইল ক্রেতাদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। গত এক দশকে নকিয়া, স্যামসাং, মটোরোলা, সিমেন্স, সনি, র্যাংগস, সিম্ফোনি প্রভৃতি ব্র্যান্ড তৃতীয় বিশ্বে অসংখ্য জনপ্রিয় ও নন্দিত ফিচার ফোন বা মোবাইল বাজারজাত করেছে এবং তাদের প্রায় প্রতিটি ফিচার ফোনই বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বে গত এক যুগ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের হাতে রাজত্ব করেছে।
বাংলাদেশে রয়েছে ফিচার ফোনের অগাধ গ্রহণযোগ্যতা
শ্রেণী বৈষম্য তো যুগে যুগে ছিলই। ধনী মানুষেরা যে কোন প্রকার দাম দিয়ে মোবাইল ফোন কিনতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের প্রান্তিক দরিদ্র মানুষেরা সর্বপ্রথম মোবাইল ও ইন্টারনেটের স্বাদ আস্বাদন করতে পেরেছে ফিচার ফোনের কল্যাণেই।
ফিচার মোবাইল ফোন: জাভা বনাম সিমবিয়ান
মূলত জাভা ফিচার ফোনগুলোর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষেরা ইন্টারনেটের সাথে নিজেদের পরিচিত করতে পেরেছে। পরবর্তীতে জাভা ফিচার ফোনের জায়গাকে দখল করেছে সিমবিয়ান ফিচার ফোনগুলো।
আসুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক কিছু জনপ্রিয় ফিচার ফোন
বাজারে বর্তমানে অনেক মডেলের ফিচার ফোন আছে। এদের মধ্য থেকে আপনি খুব সহজেই খুঁজে পেতে পারেন ব্যবহারের জন্য সেরা ফিচার মোবাইলটি।
মোবাইল বাজারের সেরা কিছু ফিচার ফোন হচ্ছে- নোকিয়া ২২৫ ফিচার ফোন, নোকিয়া এন-৯৭ কোয়ার্টি ফিচার ফোন, নোকিয়া এক্স ৭ সিমবিয়ান ফিচার ফোন, নোকিয়া ১০৫ ফিচার ফোন (nokia 105 price in bangladesh), র্যাংগস জে ১০ ফিচার ফোন কাম পাওয়ার ব্যাংক, স্যামসাং গুরু মিউজিক ২ ফিচার ফোন, স্যামসাং মেট্রো বি৩১৩ ফিচার ফোন, সিম্ফোনি এল ১৮ ফিচার ফোন, সিম্ফোনি এ ১০ ফিচার ফোন।
এছাড়া ম্যাঙ্গো, ওয়েস্টার্ন, মাইসেল, অরেঞ্জ প্রভৃতি কোম্পানিরও রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ফিচার ফোন- যাদের যেকোন একটি মোবাইলই আপনার ফিচার ফোনের চাহিদা বেশ ভালোভাবেই পূরণ করতে সক্ষম।
ফিচার ফোন বনাম স্মার্টফোন: কেন ফিচার ফোন ব্যবহার করবেন
বর্তমানে ফিচার ফোনের উপযোগিতা কিছুটা কমে আসলেও ফিচার ফোনের মধ্যেই বেশির ভাগ মানুষ সহজে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মজা খুঁজে নেয়। স্মার্টফোনের থেকে ফিচার ফোন তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামের ও ন্যুনতম ফিচারের হওয়ায় যেকোন নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ফিচার ফোন ব্যবহার স্মার্টফোনের থেকে বেশী সহজ ও ব্যবহারযোগ্য।
কিন্তু এতো দামী দামী স্মার্টফোন থাকতেও কেন ফিচার ফোন? কম মূল্যের কথা বাদ দিলেও ব্যাকাপ ফোন হিসেবে একটি ফিচার ফোন হতে পারে আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। ঘুরতে গেলে বা চার্জ দেবার পরিস্থিতি না পাওয়া গেলেও জরুরি প্রয়োজনে একটি সেরা ফিচার ফোন দিতে পারে দীর্ঘ সময়ের ব্যাক আপ। এছাড়া রেডিও, এমপিথ্রি, টর্চ লাইটের মতো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ফিচারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ফিচার ফোন।
দারাজে পাবেন স্ট্যান্ডার্ড ফিচার মোবাইল ফোন সহজেই
বাংলাদেশের এক নাম্বর মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে ঘরে বসেই সাশ্রয়ী দামে এখন কিনতে পারেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক ডিজাইনের সব স্ট্যান্ডার্ড মোবাইল ফোন। দারাজে ফিচার ফোনের দাম অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে অপেক্ষাকৃত কম।
তাই সেরা দামে ফিচার ফোন বা ভালো বাটন মোবাইল ২০২১ কিনতে চাইলে দারাজের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারেন সাশ্রয়ী বাটন মোবাইল এর দাম সহ অনলাইন শপিং-এর তরতাজা অভিজ্ঞতা। দারাজ থেকে সহজেই অনলাইনে কিনুন নোকিয়া, স্যামসাং (samsung) ফিচার ফোন, সিম্ফোনি মোবাইল ফোন (symphony new phone 2021), ওয়ালটন সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিভন্ন মডেলের ফিচার ফোন বা স্ট্যান্ডার্ড ফোন।
বিশেষ করে নকিয়া নতুন বাটন মোবাইল (নকিয়া বাটন মোবাইল দাম) বা নোকিয়া নরমাল ফিচার মোবাইল এর দাম ২০২১ অনুসারে জানতে আপনার সেরা গন্তব্য হতে পারে দারাজ বাংলাদেশ। নোকিয়া বাটন মোবাইল (nokia ফিচার ফোন), symphony বাটন মোবাইলের দাম ২০২১ সহ বিভিন্ন নরমাল টেকসই ফিচার ফোনের সমৃদ্ধ কালেকশন, নিরাপদ লেনদেন প্রভৃতি সুবিধার কারণে দারাজ বাংলাদেশে অনলাইন শপিং এখন আরও অনেক গ্রহণযোগ্য এবং সহজ।
দারাজ থেকে কিনতে পারেন নতুন ফিচার ফোন যখন তখন
বাংলাদেশে ফিচার ফোনের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্য এখন দারাজে। সেইসাথে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার ও ভাউচারের মাধ্যমে সেরা ফিচার ফোনটি অনলাইনে অর্ডার করলে সেরা ফিচার ফোন বা নরমাল মোবাইল ঢাকা (Dhaka), চট্টগ্রাম (Chottogram) সহ সারাদেশে দ্রুততম হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়। উপযুক্ত ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি, ৭ দিনের ইজি রিটার্ন পলিসি ও ক্যাশ-অন ডেলিভারির মাধ্যমে উপভোগ করুন দারাজ থেকে ফিচার ফোন কেনার এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
বাটন মোবাইল লক করার পর বাটন মোবাইল এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে তৎক্ষণাৎ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে অথবা ঘরে বসে নিজেই বাটন মোবাইল ফ্লাশ করে নিতে পারেন। এ সংক্রান্ত বাটন মোবাইল টিপস এর প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনেই পেয়ে যাবেন।
ফিচার ফোন ছাড়াও দেখতে পারেন স্যামসাং মোবাইল ফোন, হাওয়াই মোবাইল ফোন, শাওমি মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন ফিচার মোবাইল ফোন কালেকশন ২০২১।
ফিচার ফোনের দাম
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে আমাদের জীবনযাত্রা। বিশেষ করে সেলফোন মুঠোবন্দি করেছে বিশ্বটাকেই। এক্ষেত্রে টাচ স্ট্ক্রিন সমৃদ্ধ স্মার্টফোনই হয়ে উঠেছে আধুনিক জীবনযাত্রার প্রাত্যহিক ডিভাইস। তবে টাচস্ট্ক্রিনের আগে ফিচার ফোনে (বার ফোন) ভরসা ছিল ব্যবহারকারীদের। ফিজিক্যাল বাটন সমৃদ্ধ ছোট পর্দার এ ফোনে কথা বলা, এসএমএস আর ছোটখাট গেম খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
এফএম রেডিও, টর্চলাইটের ব্যবহারও ফিচার ফোনে জনপ্রিয়। ফোনে টাকা পাঠানো কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কাজেও ফিচার ফোন ব্যবহার করছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তবে ফিচার ফোনের ছোট আর ননটাচ পর্দায় ইন্টারনেটের অপার দুনিয়ার স্বাদ পাওয়া যায় না। এত সীমাবদ্ধতার পরও দেশে এখনও ফিচার ফোনের গ্রাহক ৬০ শতাংশেরও বেশি। আইডিসির প্রতিবেদন মতে, ২০১৯ সালে দেশে মোট তিন কোটি ২৮ লাখ হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছে।
এর মধ্যে ফিচার ফোনই ছিল দুই কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার। ফলে দেখা যাচ্ছে গত বছর মোট বিক্রি হওয়া ফোনের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ছিল ফিচার ফোনের দখলে। কারা কিনছেন ফিচার ফোন- এমন প্রশ্নের জবাবে আইটেল এবং টেকনো ব্র্যান্ডের পরিবেশক ট্র্যানশন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানুল হক বলেন, মূলত প্রান্তিক আয়ের মানুষের পাশাপাশি বয়স্ক মানুষ ফিচার ফোন কিনে থাকেন।
পাশাপাশি অনেকে স্মার্টফোনের পাশাপাশি শুধু কথা বলার জন্যও ফিচার ফোন কেনেন। এ কারণে দেশে স্মার্টফোন বিক্রির হার বিগত বছরগুলোর তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও ফিচার ফোন বিক্রি ঊর্ধ্বগতিতে তেমন ভাটা পড়ছে না। তবে দেশে স্মার্টফোন তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন বেশ কম দামেও স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দুই-তিন বছরে ফিচার ফোন মার্কেটের বড় একটা অংশ কম দামের স্মার্টফোন দখল করতে পারে।
তবে সেটা হলেও চলতি বছরও হ্যান্ডসেটের মোট বাজারের অর্ধেকেরও বেশি ফিচার ফোনের দখলে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফিচার ফোনে দেশে শীর্ষ ব্র্যান্ড কারা? অর্থ্যাৎ কোন ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতারা বেশি আস্থাশীল- এ প্রশ্নের উত্তরে ওই জরিপ প্রতিষ্ঠানের ডাটা বলছে, বিক্রির হিসাবে সিম্ম্ফনি বাজার কিছুটা হারালেও এখনও শীর্ষে রয়েছে। পরবর্তী অবস্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে আইটেল, ওয়ালটন, নকিয়া, স্যামসাং, উইনম্যাক্স, লাইটটেল, লাভা, ম্যাক্সিমাস, উইনস্টার, লিনেক্স ফিচার ফোন। দেশের শীর্ষ কয়েকটি ব্র্যান্ডের স্বল্পমূল্যের ফিচার ফোনে খোঁজখবর জেনে নিন।
সিম্ম্ফনি
সাশ্রয়ী মূল্যে মোবাইল ফোন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে আনতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে দেশের অন্যতম মোবাইল ব্র্যান্ড সিম্ম্ফনি। ২০০৮ সালে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে মোবাইল ফোনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে স্মার্টফোনের পাশাপাশি বাজারে সিম্ম্ফনি আনছে বাহারি সব ফোন। বিশেষ করে অল্প আয়ের মানুষের মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছে ব্র্যান্ডটি। বর্তমানে সিম্ম্ফনির প্রায় ২৩ মডেলের ফিচার ফোন বাজারে পাওয়া যায়। যার দাম ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।
সিম্ম্ফনি বিএল ৯৮, ১.৭৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১৭০০ এমএএইচ লাইন ব্যাটারির ফোনটিতে ৫৫০ ঘণ্টা স্ট্যান্ডবাই ও ১১ ঘণ্টা টকটাইমসহ রয়েছে ফিচার ফোনের নানা সুবিধা। ফোনটির বাজারমূল্য ৮৯০ টাকা। ২জি, জিপিআরএস, ৮০০ এমএএইচ লাইন ব্যাটারির সুদৃশ্য বি২৪ মডেলে ফোনটির মূল্য ৮০০ টাকা। বর্তমান বাজারে সিম্ম্ফনির কম দামের ফোনের মধ্যে অন্যতম বি২৬। ফিচার ফোনের মৌলিক সব ফিচারসহ ১.৭৭ ডিসপ্লের ফোনটির দাম ৭৯০ টাকা।
এল৪০ মডেলের ফিচার ফোনে ২.৪ ইঞ্চির পর্দা, ডিজিটাল ক্যামেরাসহ আছে এফএম রেডিও, টর্চলাইট ইত্যাদি। বর্তমান বাজারমূল্য এক হাজার ১৩০ টাকা। ৮০০ টাকায় বি২৪, ৯১০ টাকায় বিএল ৯৭, ৯৫০ টাকায় ডি৩৭, ১২৭০ টাকায় ডি৫৪, ১২৯০ টাকায় এস৪০ মডেলের নানা রঙের দারুণ সব ফোন বাজারে এনেছে সিম্ম্ফনি।
আইটেল
গত তিন বছরে আইটেলের ফিচার ফোন বিক্রির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। স্বল্পমূল্যে মোবাইল ফোন বিক্রি করে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে আইটেল। ক্রমবর্ধমান হারে ফোন বিক্রি বেড়েছে আইটেলের যার মধ্যে ফিচার ফোন অন্যতম। আইটেলের কম মূল্যের ফিচার ফোনের মধ্যে ইট২১৮০ ও ইট২০৮০ উল্লেখযোগ্য। ১.৭৭ ডিসপ্লের ইট২১৮০ ফোনটিতে রয়েছে ১.৩ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা, এমপিথ্রি ও ১০০০এমএএইচ ব্যাটারি।
মূল্য ৮৮০ টাকা। প্রায় কাছাকাছি ফিচারের ইট২০৮০ ফোনের বাজারমূল্য ৮০০ টাকা। ২.৪ ডিসপ্লের ইট৫২৩১ ফোনটির রয়েছে ১৯০০এমএএইচ ব্যাটারি। মূল্য ১৬৯০ টাকা। ইট৫৬২২ মডেলের ফোনে ২.৮ ডিসপ্লের সঙ্গে রয়েছে ২৫০০এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারি। দাম ১৭৫০ টাকা। এ ছাড়া ইট৫৬১৩ মডেলের কালো ও সোনালি রঙের ২৫০০এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারির ফোনটির দাম ১৫৯০ টাকা।
ওয়ালটন
সাশ্রয়ী দামে ক্রেতাদের হাতে ফিচার ফোন দিচ্ছে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। বাংলাদেশের একমাত্র মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডারডাইজেশন (আইএসও) সনদ অর্জন করেছে।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ২৫ মডেলের ফিচার ফোন। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও প্রয়োজনীয় কনফিগারেশনের সাজানো এসব ফোন তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায়। সাশ্রয়ী মূল্যের এসব ফোনের দাম মাত্র ৬৮০ থেকে ১৫৫০ টাকা পর্যন্ত। ওলভিও এমএল১৩ ও ওলভিও এমএল১৫ মডেলের ফোনে রয়েছে ২.৪ ডিসপ্লে, ডিজিটাল ক্যামেরা, ৩২জিবি র্যাম, ১০০০এমএএইচ ব্যাটারি।
দাম ৯৫০ টাকা। ২.৪ ডিসপ্লে, ডিজিটাল ক্যামেরার ওলভিও এমএল১৮ ফোনটির রয়েছে ১০০০এমএএইচ ব্যাটারি। মূল্য ১১৫০ টাকা। ওলভিও এমএম১৯জে দুই সিমের এ ফোনটি জাভা-সমর্থিত গেম এবং অ্যাপ ব্যবহার করা যায়ে। এতে ফেসবুক, অপেরা মিনি রয়েছে। ২.৪ ইঞ্চির পর্দা, দুই পাশে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ডিজিটাল ক্যামেরা, এমপিথ্রি, এমপিফোর, এলইডি লাইট, ৩২ গিগাবাইট কার্ড, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, ব্লুটুথ ইত্যাদি রয়েছে।
ফোনটির বাজারমূল্য প্রায় ১২৫০ টাকা। এ ছাড়া ফিচার ফোনের সব সুবিধাসহ ১৪৫০ টাকায় ওয়ালটন অলভিও এস৩৩, ১০৫০ টাকায় অলভিও এমএল১৭, অলভিও এমএম১৮, ১৪৫০ টাকায় অলভিও এস৩৩, ১০০০ টাকায় অলভিও এমএল১৪, ১১৯০ টাকায় অলভিও পি১৩ মডেলের ফোন বাজারে পাওয়া যাবে।
নকিয়া
ফিচার ফোনে এ দেশে সবচেয়ে বেশি আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নকিয়া। ফিচার ফোনে দীর্ঘদিনের নির্ভরতা এই ব্র্যান্ডটিকে বাংলাদেশের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে নকিয়া ৩৩১০ মডেলের ফিচার ফোন বাজারে এনে ফিচার ফোনপ্রেমীদের মধ্যে শোরগোল ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এ ফোনটি ফিচার ফোনের বাজারে নকিয়ার অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাজারে এসেছে নকিয়ার ১০৫ ডিএস মডেলটি।
স্বল্পমূল্যে এই ফোনটিতে রয়েছে ১.৭৭ ইঞ্চি ফোনটির ডিসপ্লে, কিউকিউজিএ ৪ এমবি রম। এফএম রেডিও, টর্চলাইট, ক্যালেন্ডার, অ্যালার্ম ক্লক, ডুয়াল সিমকার্ডসহ ২৫.৮ দিন স্ট্যান্ডবাই ও ১৪.৪ ঘণ্টা টকটাইমের সুবিধা। ফোনটির বাজারমূল্য ১৪৯৯ টাকা। ১০৬ ডিএস, ১.৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এফএম রেডিও, টর্চ লাইট ক্লক, ক্যালেন্ডার, অ্যালার্ম ক্লকসহ ২১ দিন স্ট্যান্ডবাই ও ১৬ ঘণ্টা টকটাইমের এ ফোনটির মূল্য ১৫৯৯ টাকা।
১১০ ডিএস ফোনটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। ৮০০ এমএএইচ ব্যাটারির ১৮.৫ দিন স্ট্যান্ডবাই টাইম, এফএম রেডিও ও ৫৪ ঘণ্টা ব্যাকআপ ব্যাটারির ফোনটির দাম ২১৪৯ টাকা ১৩০ ডিএস মডেলের ফোনটিতে অন্যান্য সুবিধাসহ ৩২ জিবি মেমোরি ৫৪ ঘণ্টা ব্যাকআপ সময়ের ফোনটির দাম ২১৫০ টাকা। ২.৪ ডিসপ্লের নকিয়া ১৫০ ডিএস মডেলের ফোন পাওয়া যাবে ২৮০০ টাকায়।
১১০ ডিএস মডেলের কালো, লাল ও ধূসর রঙের ফোনের দাম ৩০৮৫ টাকা। ২২০ ফোরজির ডিসপ্লে ২.৪ ইঞ্চি, ডুয়েল মিনি সিম ক্যামেরা, ৩২ জিবি এক্সপেন্ডেবল মেমোরি ও ২৭ দিন ব্যাটারি ব্যাকআপের ফোনটির দাম ৩৯৯৯ টাকা। পুরোনো মডেল নতুন আকারে এসে বাজারে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করেছে চার রঙের ৩৩১০ ডিএস ফোনটি। ৫১ ঘণ্টা প্লেব্যাক, ২২ ঘণ্টা টকটাইম ও ২৫ দিন স্ট্যান্ডবাই ব্যাটারির ফোনটির দাম ৪৫৯০ টাকা।
ফিচার ফোনের দামের ক্ষেত্রে একটু বেশি নকিয়া ২৩০ ডিএস ফোনটির দাম। স্মার্ট ডুয়াল সিম ও ক্যামেরার এলইডি ফ্ল্যাশসহ ফেসবুক, টুইটার ব্যবহারের সুবিধার ফোনটির বাজারমূল্য ৫৩৯৯ টাকা। এ ছাড়া ফিচার ফোনের মধ্যে সবচেয়ে দামি ফোন হিসেবে ২৭২০ ফ্লিপ ও ৮০০ টাফ। ফোন দুটির বাজারমূল্য যথাক্রমে ৭৯৯৯ ও ১০,২৫০ টাকা।
স্যামসাং
স্মার্টফোনে প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ফিচার ফোনে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। কোম্পানির ফিচার ফোনে অধিক চাকচিক্য না থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ফোনগুলো সুনাম কুড়িয়েছে। গুরু মিউজিক-২ ফিচার ফোনটি বেশ সাড়া ফেলেছিল। ২ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ২০৮ মেগাহার্টজ প্রসেসর, ৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ফোনটিতে দুটি সিমকার্ড ব্যবহার করা যায়। ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড লাগানো যায়।
ফোনটির বাজারমূল্য ২১০০ টাকা। স্যামসাং মেট্রো ৩১৩ মডেলের ফোনে রয়েছে ২ ইঞ্চি ডিসপ্লে, সিএমওএস ভিজিএ ক্যামেরা, ২০৮ মেগাহার্টজ প্রসেসর, মেমোরি কার্ড স্লট, ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড লাগানো যায়। ১,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ফোনটির দাম ২৭৫০ টাকা। ২.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৩১২ মেগাহার্টজ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড লাগানোর ব্যবস্থাসহ ফোনটিতে রয়েছে ১২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
ফোনটির বাজারমূল্য ৩,৫৫০ টাকা। ই১২৮২টি, মেট্রো ই২২০২, ই১২৭২, এস৫৬১০, মেট্রো ৩১২ ফিচার ফোনগুলো কেনা যাবে দুই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া রাজধানীর মোবাইল বাজারগুলোতে আরও অনেক ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে- উইনম্যাক্স, লাইটটেল, লাভা, ম্যাক্সিমাস, উইনস্টারের, ওকাপিয়া, জিওক্স, অ্যালকাটেলসহ নানা ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন।
ব্র্যান্ডের ফোনগুলো সাধারণত ক্রেতাদের জন্য প্রায় প্রত্যেকটি ফোনেই কমপক্ষে এক বছরের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
কেনাকাটা
ভালো ব্র্যান্ডের নিজস্ব শোরুম থাকে। কিন্তু ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন সব এলাকায়ই পাওয়া যায়। আপনি চাইলে অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দারাজ, ইভ্যালি, প্রিয়শপ, অথবা ডটকমসহ নানা অনলাইন শপের সাহায্য নিতে পারেন। তবে কেনার আগে আসল ব্র্যান্ডের ফোন কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
স্মার্টফোনে আসক্তি এখন পরিবার ও সামাজিক পরিসর, এমনকি কর্মক্ষেত্রেও সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই যারা এই আসক্তি কাটাতে চান তাদের জন্য সুইজারল্যান্ডের মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাংকট নিয়ে এসেছে ফোনকল এবং এসএমএস সহ সাধারণ ফাংশনের একটি ফিচার ফোন।
স্পেনের বার্সেলোনায় চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফিচার ফোনটি প্রদর্শন করেছে পাংকট। এমপি০২ মডেলের এই ফোনে ইন্টারনেট এবং অ্যাপস ব্যবহারের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। ফোনটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৪ হাজার টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া)।
ফিচার ফোনটির এই অত্যাধিক দামের পক্ষে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির যুক্তি হচ্ছে- মসৃণ, হালকা ও পাতলা ডিজাইন এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যের হওয়ায় এমন উচ্চ মূল্য ন্যায্য।
ফোনটিতে নয়েজ ক্যানসেলেশন সুবিধাসহ হাই কোয়ালিটির অডিও, মাইক্রো-ইউএসবি চার্জিং, অ্যান্টি রিফ্লেকশন স্ক্রিন (চোখ সুরক্ষিত থাকবে) এবং অ্যান্টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোটিং (আঙুলের ময়লার ছাপ পড়বে না) ব্যবহৃত হয়েছে।
পাংকট এমপি০২ মডেলের ফোনটি দেখতে অনেকটা নব্বই দশকে নকিয়ার ‘ব্রিক’ ফোনের বর্তমান ভার্সনের মতো। তবে বেশ হালকা ও পাতলা ডিজাইনের। ওজন মাত্র ৮৮ গ্রাম। ফোনটির ফোরজি মোবাইল ব্রডব্যান্ড হটস্পট হিসেবে ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটে ব্যবহার করা যাবে।
পাংকটের ফিচার ফোনটি নকিয়ার একই ধরনের বেশ কিছু মডেলের ফিচার ফোনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যেগুলোতে সাধারণ ফিচার ঠিক রেখে কেবল নেটওয়ার্ক উন্নত করা হয়েছে। উদাহারণস্বরুপ, পাংকট এমপি০২ ফিচার ফোনের মতো একই ফাংশনের নকিয়া ১০৫ ফিচার ফোনের মূল্য মাত্র ৪০ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় মূল্য ৪ হাজার টাকার মতো।
এছাড়াও কেবল স্যোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার জন্য বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের আরো অনেক স্বল্প মূল্যের ফিচার ফোন রয়েছে। সুতরাং ফিচার ফোনের পেছনে ৪০০ ডলার ব্যয় করতে মানুষজন কতটা সাড়া দেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।