ঈদের নামাজের নিয়ম || ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
আসসালামালাইকুম ঈদ মুসলমানদের একটা ধর্মীয় উৎসব তাই আজকে আলোচনা করব ঈদের নামাজের নিয়ম বছরে ঈদের নামাজ দুই বার আসে তাই আমরা অনেকেই হয়তো নামাজ পড়তে গিয়ে ভুল করে থাকি তাই আজকে আপনাদের সাথে ঈদের নামাজের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব।
ঈদের নামাজ খোলা জায়গায় মসজিদ কিংবা বাসা বাড়ি যেখানেই পরা হোক না কেন অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে।
আমরা সপ্তাহের জুমার নামাজ পড়ে থাকি তাই জুমার নামাজ পড়ার বা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন। ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য এই সব শর্ত প্রয়োজন সুতরাং জামাতে আদায় করতে হবে।
ঈদের নামাজ বাসা বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায় করতে হলে অবশ্যই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে।
ঈদের নামাযের জন্য কোন আজান বা একামত নেই তবে জুমার নামাজের মতই উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় । ঈদের নামাজের পার্থক্য তবে ঈদের নামাজের জন্য পার্থক্য হলো অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হবে।
প্রথম রাকাতে আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিয়ে সুরা ফাতেহা পড়ার পরে অতিরিক্ত সূরা মিলাতে হবে।
দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার পরে অতিরিক্ত যে কোন সূরা মিলাতে হবে তারপর তিন তাকবীর দিতে হবে।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ত
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত 6 তাকবীরের সঙ্গে এই ইমামের পিছনে কেবলামুখী হওয়া আদায় করছি । আবার ঈদের নামাজের নিয়ত ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত 6 তাকবীরের ইমামের পিছনে কেবলা মুখী হইয়া আদায় করতেছি আল্লাহু আকবার বলতে হবে ।
ঈদের নামাজ পড়ার পরে খুতবা শোনা ওয়াজিব
ঈদের নামাজের পর ইমাম খুতবা দেবে আর মুসল্লীরা খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনবে অনেকেই আছে খুতবা না শুনে চলে যায় তারা অজিত ছেড়ে দেওয়ার গুনা তাদের আমল নামায় লিখা হয় তাই আমরা ঈদের নামাজ পড়ার পরে ইমাম সাহেবের খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনবো।
ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম
নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলে তাহারিমা বাঁধতে হবে এরপর এরপর ছানা পড়েন মুসল্লীরা সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ও মেহেন্দি কা তাবারা কাসমুকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
এরপর তিন বার আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করে তাকবীর বলতে হয় । প্রথম দুইবার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হয়।
কিন্তু তৃতীয়বার আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে নিবেন প্রতিটি তাকবীরের পর তিন বার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এমন সময় থেমে থাকতে হয়।
এরপর ছানা পড়ে সুরা ফাতেহা পড়ে যে কোন সূরা মিলাতে হয় কিন্তু সেটি করবে ইমাম সাব মুসল্লীরা পিছনে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে ।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশেই মসজিদে কিংবা বাইরে বিশাল জামাতের ঈদের নামাজ আদায় করা যায় না ।
অনেক বিধি-নিষেধ রয়েছে তাই মসজিদ ছাড়াও বাসা বাড়িতে বসে ঈদের নামাজ আদায় করা যায় ।তবে শর্ত হলো তার জামাতে আদায় করা এবং খুতবা দেওয়া ।
আর ঈদের নামায আদায়ের জন্য ইমাম ছাড়া অন্যতম 3 জন মুসল্লি হতে হবে । পরিবার নিয়ে জামাত ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন ।
ঈদের নামাযের জন্য কোন অক্ত প্রয়োজন নেই যেকোনো সময় অর্থাৎ দুপুরের আগে ঈদের নামাজ আদায় করে নেওয়া অতি উত্তম। তাই আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য ঈদের নামাজ ঈদুল ফিতরের নামাজ বাইদুল আযহার নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক আমিন।
আমরা অনেকেই রোজা রাখি না তারাবির নামাজ পড়ি না কিন্তু ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদুল আযহার নামাজ পড়তে আমরা অনেকেই মসজিদে যাই তাই সবাই রোজা রাখবেন নামাজ পড়বেন এবং ঈদের সবাইকে ঈদের খুশি সবাইকে ভাগাভাগি করে দিবেন।
তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম ঈদের নামাজের নিয়ম ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত নিয়ে ।
আমরা অনেকেই ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম জানিনা তাই আজকে আপনাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানানো হলো । অবশ্যই আপনারা নিজেরা পড়ে জানবেন এবং অন্যান্য ভাই দের জানাবেন।
জানি তারা সঠিকভাবে ঈদের নামাজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারে তাই আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি আসসালামুয়ালাইকুম।