প্রিয় পাঠক আপনাদের সাথে আলোচনা করব সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ২০২২ এই সম্পর্কে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রের যেতে চাই তার পাশাপাশি একটু ভালো রাষ্ট্র যাওয়ার ইচ্ছা থাকে সবার।
তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ২০২২ আসলে সরকারিভাবে যে কোন রাষ্ট্রে গেলে ভালো হয়। কারণ এ পুরোটাই দায়ভার সরকার বহন করে এতে আমাদের কোনরকম প্রতারণার শিকার হতে হয় না।
এজন্যই সরকারিভাবে গেলে ভালো হয় তাতে আপনি যে কোন রাষ্ট্রে যান না কেন এজন্য আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করার বিষয় হলো। সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ২০২২ আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে তাই পুরো পোস্টটি ভালো করে পড়ে বুঝুন।
সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে আন্তর্জাতিক মানব সম্পদ উন্নয়ন সংস্থা এমআই জাপান টেকনিক্যাল ইন্টারনেট নিয়োগের চাহিদাপত্র। পাঠানোর পর তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয় এজন্য আপনাকে আপনার টেকনিক্যাল বিষয় সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
সরকারিভাবে জাপান যেতে আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীকে নিম্নতম এস এস সি পাস হতে হবে জাপানি ভাষা লেভেল ৫ বা পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই যেতে পারবে। পুরুষের ক্ষেত্রে ১৬০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হতে হবে। এই সব নথিপত্র সাথে আপনার পরিচয় পত্র এবং সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
এর আগে যারা জাপানে কর্মরত ছিলেন তারা আবেদন করতে পারবেন না বাছাই প্রক্রিয়া। জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য কাজ করতে আগ্রহী প্রার্থীকে এই bmet.gov.bd .
ওয়েবসাইটে থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুড়োর নির্ধারিত ই-মেইল ঠিকানায় কিংবা প্রতিষ্ঠান বরাবর পাঠাতে হবে। ফরম যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের মোবাইলে ফোন বা এসএমএস দিয়ে ডাকা হবে।
জাপান যেতে হলে কি কি প্রয়োজন
উপরে উল্লেখিত এস এম এস পাওয়ার প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ে বিএমটি কর্মকর্তা মনোনীত কারিগরি শিক্ষা। জাপানি ভাষায় পর্যাপ্ত দক্ষতা সংক্রান্ত ও শিক্ষাগত যোগ্যতা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র। অথবা জন্ম নিবন্ধন জীবন বৃত্তান্ত মূল কপি এক কপি ফটোকপি নিয়ে নির্ধারিত সময়ে কাগজপত্র সহ উপস্থিত থাকতে হবে।
সরকারি ভাবে জাপান যেতে কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে জাপান যেতে খরচ বেশী লাগেনা সরকারি ভাবে জাপান যেতে টেকনিক্যাল ইন্টারনেট হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বা নির্বাচিত কর্মীদের কোন ফি দিতে হবে না। শুধু পাসপোর্ট মেডিকেল পরীক্ষা বহির্গমন ছাড়পত্র সংক্রান্ত খরচ।
কর্মীদের বহন করতে হয় এছাড়া প্রশিক্ষণকালে 6 মাস খাবার খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে এছাড়া বাড়তি কোনো খরচ নেওয়া হয় না। তাই সরকারি ভাবে জাপান যেতে চাইলে উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আপনারা ফরমটি পূরণ করে আবেদন করতে পারেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসা ২০২২
জাপানে যারা টুরিস্ট হিসেবে ঘুরতে যেতে চান তাদের অবশ্যই কিছু জানা প্রয়োজন আমরা জানি এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত এবং ভদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত জাপান। বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও জাপান ভ্রমণের ইচ্ছা থাকে।
আমার জানামতে জাপান টুরিস্ট ভিসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক এবং পেশাদার কাগজপত্র এর উপর নির্ভর করে।
মোটামুটি ভ্রমণ হিসেবে যেকোনো ভিসার জন্য ভালো কিন্তু শুধুমাত্র ভ্রমণ হিসেবে মানে কেউ সাত-আটটা দেশে গিয়েছে বলে ভিসা দিয়ে দেবে এমনটা না।
শুধু আমন্ত্রণপত্র জাপানের জন্য কখনোই বাধ্যতামূলক ছিলনা আর এখনো নেই আমি শুধু হোটেল বুকিং দেখেই ভিসা পেলাম এভাবেও না।
জাপান ভ্রমণের যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন
অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ,বেলি পাসপোর্ট পুরাতন পাসপোর্ট যদি থাকে, দুই কপি ছবি, ফ্লাইট বুকিং কফি, যদি আসা যাওয়া থাকে, হোটেল বুকিং কপি, ইনভাইটেশন কফি, যদি ওখানে কোন আপনার গ্রান্টেড থাকে তাহলে গ্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কের ক্লিয়ারেন্স।
যেমন জাপান ভ্রমণ এর সময়কালীন সকল খরচ আবেদনকারীর নিজে বহন করে। সে ক্ষেত্রে তার ইনকাম টেক্স সার্টিফিকেট স্টেটমেন্ট যদি ভ্রমণকালীন সময়ে যাবতীয় খরচ জাপানে অবস্থিত কোন গ্রান্টেড বহন করে থাকেন। তাহলে উক্ত গ্রান্টের গ্যারান্টি পেপার টেক্স সার্টিফিকেট ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ইনকাম সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। উক্ত গ্রান্টের জাপানের আইডি কার্ড ফরমের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
পাসপোর্ট এর কপি জমা দিতে হবে উপরে এই কাগজপত্র এগুলো ছাড়াও আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স অথবা চাকুরীজীবি হলে অফিস থেকে এন ও সি নিয়ে যাবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্য
জাপান টুরিস্ট ভিসা ফি জাপান সরকার বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছ থেকে কোন ভিসা ফি নেয় না আপনি ভিসা ফি ছাড়াই জাপানে টুরিস্ট ভিসায় এর আবেদন করতে পারবেন।
জাপান টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং জাপান টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং নরমালি পাস কর্মদিবসের হয়ে যায় তবে প্রসেসিং টাইম আবেদনকারীর সাবমিট করা ফাইল এর উপর নির্ভর করে।
জাপান এম্বাসি ঠিকানা দূতাবাসে জাপান কন্ট্রোলার এবং বিসেকশন ফ্লাট নং ৫ও ৭ বারিধারা ঢাকা।
জাপান এম্বাসি কন্টাক্ট ফোন নাম্বার ৯৮৪-০০১০ ফ্যাক্স নাম্বার ৯৮৪-১৫৯১।
অথবা জাপান এম্বাসি ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনি ভিজিট করতে পারেন ওয়েবসাইটের লিংক http://www.bd.emb-japan.go.jp
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনাদের সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ২০২২ এবং জাপান টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে সমস্ত কাগজ পাতি তথ্য দিতে পেরেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে তাই সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।