ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি
প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি আলোচনা করার কারণ হল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক রোগী দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে সবচাইতে বেশি যেসব রোগী দেখা যায় সেগুলো হলো ব্লাড প্রেসারের রোগী আর ডায়াবেটিস এর রোগী।
ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আলোচনা করব এই পোস্টে কারণ। ব্লাড প্রেশারের বেড়ে গেলে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক এবং ব্রেন স্ট্রোক তার দরুন প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেক সময় মানুষ মারা যায় এইজন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়।
এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আর কোন কারনে আমাদের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় সে কারণগুলো বলবো। তাই আপনারা আমাদের এই পোস্ট ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় পুরোটা পড়ুন এবং কিছুটা হলেও ঘরে বসে প্রাথমিকপর্যায়ে রোগীকে সেবা দান করুন।
তারপরে অবশ্যই নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ব্লাড প্রেসার অবশ্যই প্রতি মাস অন্তর পরীক্ষা করানো উচিত। তাই আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে অবশ্যই কিছু না কিছু তথ্য পাবেন।
আপনি কখন বুঝবেন যে আপনার ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ এনামুল কবীর জানান। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কয়েকদিনের ব্যবধানে একাধিকবার রক্তচাপ মাপা উচিত রক্তচাপ ১৪০ বা তার বেশি।
এবং রক্তচাপ ৯০ বা তার বেশি পাওয়া যায় তাহলে সেই ব্যক্তির ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধারণা করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চরক্তচাপের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয় যেমন কিডনি তাহলে এসবের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানো, অর্থাৎ মাথা ব্যাথা বমি বমি ভাব, এসবের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
ব্লাড প্রেসারের কারণ
৯৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই ব্লাড প্রেশারের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ থাকে না বাকি ৫ পার্সেন্ট রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ থাকে। ব্লাড প্রেশারের এসব কারণের মধ্যে রয়েছে কিডনির অসুখ, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির অসুখ, যেমন থাইরয়েড, গ্রন্থির রোগ। রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে এবং কখনও কখনও গর্ভকালীন অবস্থায় রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
ব্লাড প্রেশারের ঝুঁকিতে কারা আছে
স্থূলকায় ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি ধূমপানকারী এবং যারা শারীরিক ভাবে পরিশ্রম কম করেন অর্থাৎ যারা কাজ বাজ কম করে তাদেরও ব্লাড প্রেসার এর ঝুঁকি বেশি রয়েছে।
আরো পড়ুন
ওয়ালটন নতুন ফ্রিজের কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া
ব্লাড প্রেসার এর রোগ প্রতিরোধ
ব্লাড প্রেসারের রোগীদের জীবন জীবন যাপন একটু ব্যতিক্রম করতে হবে যেমন ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে। খাবার-দাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ বাক লবণ খেলেও তা বাদ দিতে হবে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
দিনে অন্তত ২৩০ থেকে ৪০ মিনিট জোরে হাঁটতে হবে এবং এভাবে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটা উচিত ধূমপান করা যাবে না। মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা থাকলে তা কমাতে হবে, এইসব অভ্যাসগুলো যারা এখনো ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হননি তাদেরও থাকা উচিত।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ ব্লাড প্রেসার আক্রান্ত ব্যক্তি জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না এলে তাকে ওষুধ সেবন করতে হবে। ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, তার পাশাপাশি এটা মনে রাখতে হবে, ওষুধগুলো প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে।
তাছাড়া আরও মনে রাখবেন যারা এখনো ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হননি তারা অবশ্যই নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী প্রত্যেকেরই উচিত। প্রতি ১ থেকে ২ বছর পর পর রক্তচাপ পরিমাপ অর্থাৎ পরীক্ষা করা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা।
হঠাৎ ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়
হঠাৎ ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে তাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে এসব ক্ষেত্রে অনেকেই আছে মাথায় পানি দিয়ে বা বরফ দিয়ে। অনেকেই আছে তেঁতুলের শরবত খেয়ে থাকেন এসব ক্ষেত্রে কিছুক্ষণের জন্য আরামদায়ক হল পরবর্তীতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিতে হবে।
আর যাদের আগের থেকেই ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত তাদের হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে অস্থির না হয় বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এবং মাথায় পানি বরফ দিয়ে সামরিক সময়ের জন্য ভালো হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
এক নাম্বারে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ঘুমের ওষুধ সেবন করুন,
দুই নাম্বারে ওজন কমানো, তিন নাম্বারে লবণ কম খাওয়ার, নাম্বারে মদ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ না করা, পাঁচ নাম্বারে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা,
৬/ চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, ৭/ প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া, ৮/ মাছ বেশি খাওয়া, ৯/ ডায়াবেটিস হাইপারলিপিডিমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা, ১০/ ঘনঘন রক্তচাপ পরিমাপ না করা, ১১/ হাসিখুশি প্রফুল্ল রাখা বন্ধু পরিজনসহ সুখী জীবন যাপনের চেষ্টা করা ১২ মানসিক অবসাদ দূর করা ১৩ উচ্চমাত্রায় ওষুধ গ্রহণ করে হঠাৎ রক্তচাপের অতিরিক্ত না কমিয়ে ফেলা ১৪ যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া।
ব্লাড প্রেসার কেন বাড়ে
ব্লাড প্রেসার বাড়ার কারণ কয়েকটি রয়েছে কিন্তু মনে রাখতে হবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড প্রেসার কিছু পরিবর্তন আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হয়েছে।
২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হলে ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন। আর পঞ্চাশের উর্ধে হলে ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৫ জন বয়স ৭০ হলে বা তার বেশি হলে প্রতি দুজনের মধ্যে একজনের ব্লাড প্রেসার থাকে।
খাবারে বেশি নুন খাওয়ার জন্য প্রেসার বাড়তে পারে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে। শারীরিক পরিশ্রম অর্থাৎ কাজ বাজ না করলে বসে থাকলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে। মানসিক চাপ বাড়লে অ্যাড্রেনালিন গ্রন্থি থেকে নরঅ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় প্রেসার বাড়তে পারে।
প্রিয় পাঠক ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে আজকে এতোটুকুই আশা করি এর থেকে আপনারা কিছুটা হলেও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। যে ব্লাড প্রেসার রোগীদের কিভাবে চলা উচিত এবং এখনো যারা ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হননি তাদের কিভাবে চলা উচিত।
আমাদের সবারই উচিত নিজের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূর করে সুস্থ জীবন যাপন করা। আর আমাদের যদি লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।