২৬ তারিখ যা হবে

অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম


প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম। আসলে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম অনেকেই হয়তো জানেন না এজন্য আপনাদের কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে। আবার অনেকেই জানে না আসলে ট্রেড লাইসেন্স কি এটা কোন কাজে ব্যবহৃত হয় প্রশ্ন থাকে তাই আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম এই সম্পর্কে। 

তাছাড়া আরো আলোচনা করবো ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে করা যায় ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটা ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই জানেনা কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয় এজন্য বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। 

আবার অনেকেই জানেনা এর লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে আবার অনেকেই জানেনা ট্রেড লাইসেন্স কোথা থেকে করতে হয়। এই জন্য আমার মূল আলোচনা ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে ট্রেড লাইসেন্স দুই ভাবে করা যায়। একটি হল অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স করা, দ্বিতীয় টি হল নিকটস্থ সরকারি কর্মস্থল থেকে ট্রেড লাইসেন্স করা ,এজন্য আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। 
অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম


ট্রেড লাইসেন্স কি এর সম্পর্কে


ট্রেড লাইসেন্স হল আপনি যদি কোন ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করতে চান এজন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত একটি অনুমতি পত্র। যার ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেন ইংরেজিতে একে ট্রেন শব্দ ব্যবহৃত হয়। আর লাইসেন্স শব্দের অর্থ হলো অনুমতি ২০০৯ সালে সিটি কর্পোরেশনের কর আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদন আবির্ভাব ঘটে। 

মূলত এই লাইসেন্স একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের আবেদনের বৃত্তি প্রদান করা হয় ,অর্থাৎ একমালিকানা অংশীদারি ব্যবসা এবং মুলক যৌথ মূলধনী ব্যবসা জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স রয়েছে। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন করা হয় এবং প্রতিটি আলাদা আলাদা ব্যবসার জন্য আলাদা আলাদা ট্রেড লাইসেন্স করা বাধ্যতা মূলক। 


ট্রেড লাইসেন্স কত প্রকার



২০১৬ সালের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ২৯৪ ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়, ক্যাটাগরি সমূহ দেশের সমস্ত সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকার জন্য প্রযোজ্য। 

ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা


আইনগত দিক থেকে আপনি কখনোই একটি ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স গৃহিণী আরম্ভ করতে পারবেন না। আপনি যদি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চান তাহলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। 

যদি কেউ ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা আরম্ভ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। শুধুই আইনি বাধ্যবাধকতা এর  জন্য আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে, বিষয়টা এমন নয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের জন্য ট্রেড লাইসেন্স এর দরকার রয়েছে। 

ট্রেড লাইসেন্স কি কি কাজে লাগে


ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কোন ব্যাংক একাউন্ট করার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স লাগে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নামে ব্যাংক থেকে কোন লোন নেয়ার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স লাগে, কোন ব্যাবসায়িক সমিতির সদস্য হতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স লাগে, মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সেবা গ্রহণ করতে লাইসেন্স লাগবে, আমদানি-রপ্তানিতে ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স লাগে, ব্যবসার জন্য টির সার্টিফিকেট নিবন্ধন করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স লাগে ইত্যাদি। 

ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম

ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আপনার সংস্কৃত সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে নির্ধারিত ফি জমা দানের পর আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে, আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই হবে। 

কোথা থেকে ট্রেড লাইসেন্স করবেন


আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যদি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় হয়ে তাহলে সিটি কর্পোরেশন এর কার্যালয় থেকে আপনার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। আর যদি আপনার ব্যবসা কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদ এর আন্ডারে থাকে তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আপনার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর আপনার ব্যবসা কার্যক্রম যদি পৌরসভা এলাকায় আওতায় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে পৌরসভা কার্যালয় থেকে আপনার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। 

ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে


সাধারণ ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ভাড়ার রশিদ অথবা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ। শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স উপরোক্ত সকল ডকুমেন্ট সহ এবং এর সাথে পরিবেশ শনাক্ত অনাপত্তিপত্র প্রতিষ্ঠান অবস্থান চিহ্নিত চিত্র। অগ্নিনির্বাপণ প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র
ডি.সি.সি. র নিয়মাবলি মেনে চলা হবে ,এমতে ১৫০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারপত্র
কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
ক্লিনিক অথবা ব্যক্তিগত হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন।


লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ,
মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল,
সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন ,
ছাপাখানা ও আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি
রিক্রুটিং এজেন্সির ক্ষেত্রে  মানবসম্পদ রপ্তানি ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স
অস্ত্র ও গোলাবারুদের ক্ষেত্রে  অস্ত্রের লাইসেন্স
ঔষধ ও মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রে  ড্রাগ লাইসেন্সের কপি
ট্রাভেলিং এজেন্সির ক্ষেত্রে  সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি। 

অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম


ইটের লাইসেন্স করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে এরপর আপনাকে এই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার ব্যবসায় এর সব তথ্য দিয়ে, একাউন্টটি নিবন্ধন করতে হবে। আপনি এই লিংকে যাওয়ার পরে যে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করবেন এবং নিবন্ধন করার পরে খুব সহজেই আপনি আপনার ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। 

ট্রেড লাইসেন্স ফি

মূলত ব্যবসার ধরনের ওপর ট্রেড লাইসেন্সের ফি নির্ভর করে সাধারণভাবে ট্রেড লাইসেন্স ফি দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের আন্ডারের ট্রেড লাইসেন্স করতে হলে ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ট্রেড লাইসেন্স ফি নির্ধারণ নীতিমালা এবং লাইসেন্সের জন্য ফরজ সমূহ বাংলাদেশের গেজেট সিটি কর্পোরেশন শাখা ২ পিডিএফ দেখতে এখানে ক্লিক করুন


ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আজকে এতোটুকুই তাই আপনি যদি অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান। তাহলে উপরে দেওয়া লিঙ্ক গুলো ফলো করুন তাহলে অবশ্যই আপনি অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। আমাদের এই অনলাইনে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post