ব্রেইন স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে আপনারা যারা জানতে আগ্রহী তারা আমার এই আর্টিকেলে আরো কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন।
স্টকের রোগটা কম বেশি সব বয়সী রোগেরই হয়ে থাকে তাই আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।
পড়ার পরে অবশ্যই আপনি জানতে সক্ষম হবেন স্টকের রোগীকে কোন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া টা খুবই জরুরী।
ব্রেইন স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা
স্টকের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর থেকেই তিন থেকে সাড়ে চার ঘন্টার সময়ের খুবই ক্রিটিকাল অবস্থায় থাকে।
এই সময়ের মধ্যে বা তার আগে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলে অবশ্যই মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কাটানো সম্ভব বলে মনে করা যায়।
তবে এই সময়কাল এক একজন রোগের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেকের তিন ঘন্টায় যে ক্ষতি হয়ে সেটা হয়তো আর একজনের ক্ষেত্রে আরও পরে গিয়ে হতে পারে।
সাধারণত স্টকের রোগী সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা করার আইডি থ্রম্বোলাইসিস চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
চিকিৎসকরা ইনজেকশনের মাধ্যমে এমন একটা ওষুধ দেন যা রক্তকণিকার ব্লক ছুটিয়ে মস্তিষ্ককে রক্ত সঞ্চাল স্বাভাবিক করে।
তাই ডাক্তারি ভাষায় এই ওষুধ দেয়ার পদ্ধতি কে বলা হয় থ্রম্বোলাইসিস, রোগীকে যদি লক্ষণ দেখা দেয়ার।
৮ থেকে ১৬ ঘন্টার মধ্যে আনা হয় তাহলে চিকিৎসকরা সাধারণত মেকানিক্যাল থার্মালাইসিস চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
এই প্রক্রিয়া য় একটি বিশেষ যন্ত্র বা ক্যাথেটার দিয়ে রোগীর রক্তনালীতে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণ করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
এই ধরনের চিকিৎসা শেষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
তবে রক্তপাত মারাত্মক হলে মাথার হাড় কেটে মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অংশটিকে চাপমুক্ত রাখা হয়।
যেন মস্তিষ্কের সুস্থ অংশ আক্রান্ত হতে না পারে একে বলা হয় ডিকম্প্রেস ক্রানিয়েক্টমি।
হাসপাতালে নেওয়ার পর পর চিকিৎসকরা লক্ষণ বুঝে রোগীর মাথার সিটি স্ক্যান সেইসঙ্গে ব্লাড সুগার টেস্ট ইসিজি টেস্ট দিয়ে থাকেন।
পরবর্তীতে রবির অবস্থা বুঝে এম আর আই ও সিটি এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে এইসব টেস্টের ফল দেখিয়ে চিকিৎসকরা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
স্ট্রোক এর লক্ষণ
স্টোকের সাথে অনেকে হার্ট এটাকে গুলিয়ে ফেলেন কিন্তু দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
স্টক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে গেলে স্টক হয়।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন কারণ এ রক্তের মাধ্যমে শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়।
কোন কারনে মস্তিষ্কের কোষে যদি রক্ত সঞ্চাল বাধাগ্রস্ত হয় রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা ছিড়ে যায় তখনই স্টক হওয়ার ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের স্টকের ঝুঁকি বেশি থাকলেও তবে ইদানিং তরুণ এমনকি শিশুরাও স্টকে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের তুলনায় পুরুষদের স্টকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়ে থাকেন।
স্টক তিন ধরনের হয়ে থাকে মাইল্ড স্টোক ইসকেমিক স্টোক ও হেমোরেজিক স্টোক।
মাইল্ড স্টকে রোগীর মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ সামরিক বন্ধ হয়ে আবারো চালু হয় এটি মূলত বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ।
ইশকেমিক স্টককে মস্তিষ্কের ও শরীরের অন্যান্য স্থানের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাদে।
হেমলোজিক স্টকে মস্তিষ্কের রক্তনালি সিরে রক্তপাত হয়
স্টক মস্তিষ্কে কতটা ক্ষতি করবে এটা নির্ভর করে এটি মস্তিষ্কের কোথায় ঘটেছে এবং কতটা জায়গা জুড়ে হয়েছে তার উপরে।
তবে এখানে সবচেয়ে জরুরি হলো সময় যদি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে মৃত্যু মুখ থেকে রোগীকে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
চিকিৎসকরা বলেছেন রোগী যত দ্রুত চিকিৎসা পাবে ক্ষতির আশঙ্কা ততই বলে মনে করা হয়।
ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ
স্ট্রোক কি
স্ট কে এ সম্পর্কে আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন তারা এখান থেকে জেনে নিন
স্টক হল মস্তিষ্কের রক্তনালীর একটি রোগ সেই রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ব্লক হয়ে যাওয়া স্টোকের কারণ।
এছাড়া স্টক কয় ধরনের হতে পারে বা হয়ে থাকে এটা আমি উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা
আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন ব্রেন স্টোক রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে তারা এখান থেকে খুব সহজেই জেনে নিন।
মূলত আমি এটি খুব সংক্ষিপ্ত করার জন্য খাবারের নামগুলো বলে দিচ্ছি মূলত এসব খাবারে অনেকটাই ভিটামিন আইরন রয়েছে।
যার দ্বারা মানুষের দেহের ভিতরে অনেক পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তাহলে চলুন জেনে নি ই আজকের খাবার তালিকাটি বাদাম , রসুন , সবুজ শাকসবজি , ভিটামিন সি জাতীয় খাবার , টমেটো , কফি , গ্রিন টি , কলা , কুমড়ার বীজ , সামুদ্রিক মাছ।
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা ব্রেন স্টক সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা হয়তো আমার এই আর্টিকেলে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা জানতে সক্ষম হয়েছেন।
আশা করব আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন।
তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের মতন আর্টিকেল আমি এখানে শেষ করলাম আল্লাহ হাফেজ।