কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এছাড়া আর বিস্তারিত তথ্য জ্বর, পিঠে বা যে কোনো এক পাশে ব্যথা, পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া ও পরিমাণে কম হওয়া, প্রসাবের রং গাঢ় হয় ও গন্ধ থাকে এবং মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তও যেতে পারে। যদি এসব লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার
১. প্রোসেসড ফুড যেমন হিমায়িত খাবার এবং মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
অতিরিক্ত চর্বি, চিনি বা সোডিয়ামে ভরা এসব খাবার আপনার কিডনির ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট। প্রসেসড ফুড এড়িয়ে তাই তাজা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দোকানের খাবারের বদলে বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে হবে।
২. ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়োনিজ ব্যবহার করা হয়। সালাদ, স্যান্ডুইচ, বার্গারে ব্যবহার করা হয় এটি। এটি কিডনির জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়।
এক টেবিল চামচ মেয়োনিজে থাকে ১০৩ ক্যালোরি। এ ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে সবচেয়ে বেশি।
যদি খেতেই হয় তবে ফ্যাট ছাড়া এবং কম ক্যালোরির মেয়োনিজ খান। এতে সোডিয়াম ও চিনির পরিমাণ যেন অতিরিক্ত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩. আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলুর চিপস খেতে দারুণ লাগে নিশ্চয়ই? কিন্তু মজাদার এই খাবার আপনার কিডনির বারোটা বাজানোর জন্য যথেষ্ট।
এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন। কিডনি ও হার্ট ভালো রাখতে ডুবো তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আলুতে পটাশিয়াম থাকে অনেক বেশি যা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৪. প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন বেকন, সসেজ, হট ডগ এবং বার্গার প্যাটিস ইত্যাদি কিডনির বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
উচ্চ সোডিয়াম জাতীয় খাবার রক্তচাপ বাড়ায়, এটি কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপের কারণ হতে পারে। কিছু গবেষণায় বলা হয় যে, বেশি প্রাণী প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনি রোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে।
৫. কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সেইসঙ্গে এতে থাকে না কোনো পুষ্টিগুণও। এটি খাবারের অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে, যে কারণে বেড়ে যায় ওজন।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় পান করলে তা অস্টিওপোরোসিস (হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া), কিডনি রোগ, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং দাঁতের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
১. এক গ্লাস পানি একবারে ঢকঢক করে পান না করে মুখ ভরে একঢোক পানি আস্তে আস্তে পান করতে হবে। একবারে পান করলে কিডনির উপর প্রবল চাপ পড়ে।
২. সূর্যের আলো সরাসরি শরীরে লাগালে চামড়ার কোষের মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ক্রিয়ার দ্বারা ভিটামিন ডি তৈরি করে।
ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাঁড়ের ক্ষয় পূরণ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং শরীরে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে যা কিডনির জন্য অতীব প্রয়োজন।
সারাদিন মাত্র ১৫ মিনিট রোদে থাকলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন শরীরে তৈরি হবে এবং কিডনি অতিরিক্ত কাজ করা থেকে রেহাই পাবে।
ভিটামিন ডি এর মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় কমে গেলে কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সহ অনেক রোগ হতে পারে।
৩. সবজি এবং ফলের রস কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে এবং রোগাগ্রস্থ হলে ফলের রস পান করলে শরীর ভালো হয়ে যায়। ফলের রসের মধ্যে তরমুজ, জাম, করমচা, সেলারি পারসলে, শসা, গাজর, বিট উল্লেখযোগ্য।
ফলের রস খাবার জন্য কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই। যখন খুশি তখনই ফল বা সবজি খাওয়া যেতে পারে।
তবে ভরাপেটে খাওয়া যাবে না। ফল বা সবজির রসে ৫০ ভাগ রস এবং ৫০ ভাগ পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। পটাসিয়ামের পরিমাণ রক্তে যদি বেশি থাকে তবে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল সীমিত মাত্রায় খেতে হবে।
৪. প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম, আকুপ্রেসার অথবা জোরে জোরে হাঁটা শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
ব্যায়াম ও আকুপ্রেসার করলে শুধু কিডনিই ভালো থাকে না অন্য অনেক উপকার পাওয়া যায় যেমন: রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
কালেস্টরেল কমায়। রক্তের সঞ্চালন গতি বাড়ে। শরীরের পানিধারণ ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
টেনশনমুক্ত এবং মেজাজ ফুরফুরে থাকে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কর্মঠ থাকুন:আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন। এজন্য নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং করা বা সাঁতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করুন।
কর্মঠ থাকুন:আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন। এজন্য নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং করা বা সাঁতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করুন।
কর্মঠ ও সতেজ শরীরে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি খুব কম থাকে। ব্যায়াম বলতে শুধু হাঁটা না, আরও অনেক রকম ব্যায়াম করা যায় ।
যেমন: সাঁতার, ধীরলয়ে দৌড়ান যে-কোন খেলা। যেমন: টেনিস, ব্যাডমিন্টন, নাচা, সাইক্লিং ইত্যাদি। আর আকুপ্রেসার করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পয়েন্ট জেনে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে, যে কোনো ব্যায়াম করার সময় যদি আনন্দ পাওয়া যায় তবে মন এবং দেহ উভয়ে এর জন্য উপকারী হবে।
শরীর ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ৪ দিন প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট মধ্যম গতিতে ব্যায়ম বা হাঁটলেই যথেষ্ট।
কোনোক্রমেই এমন ব্যায়াম করা যাবে না যাতে আপনার হাপ ধরে যায় অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ঐ ধরনের কঠিন ব্যায়াম করলে কিডনি ক্রিটিনাইন বেড়ে যেতে পারে।
৫. কিডনির কার্যক্রম বিনষ্ট হওয়ার প্রধান কারণের মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। কিডনি ভালো রাখতে অথবা কিডনি রোগ সারাতে রক্তে চিনির পরিমাণ অবশ্য অবশ্যই, নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
যেভাবেই হোক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারলে কিডনি খারাপের দিকে যেতে থাকবে।
৬. উচ্চরক্তচাপও আরেকটি কারণ হিসাবে বিবেচিত। কিডনি দৈনিক প্রায় ১৫০-১৮০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে। রক্তের চাপ বেশি হলে কিডনির কার্যক্রম অতিরিক্ত বেড়ে যায়।
প্রাকৃতিক অথবা এলোপ্যাথিক যেটাই হোক না কেন চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। লবণ কম খান খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র এক চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করুন।
অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন গরুর মাংস, শুকরের মাংস ইত্যাদি খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডুলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে মাছ বা ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখুন খাবার তালিকায়। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখুন রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন। রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান। সুগার বেশি থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষ করে ব্যথা নাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়। নিয়ম না জেনে নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে আপনার অজান্তেই কিডনির বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাবেন না মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই।
নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন। কোমল পানীয় ত্যাগ করুন অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। এ ধরণের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায় পানি খেয়ে নিন। ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়।
ফলে ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ী ব্যক্তি এক পর্যায়ে গিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়। কিডনীর পরীক্ষা করান উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।
যাদের কিডনি রোগের ঝুকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। কিডনি আমাদের শরীরের দু'টি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। দেখতে অনেকটা সিমের বীজের মতো বা অনেকটা বাংলা ৫ অঙ্কের আকার।
মানবদেহের পাঁজরের ঠিক নিচে পেটের পেছন দিকে মেরুদ-ের দু'পাশে দু'টি কিডনি থাকে। বাম কিডনিটি ডান কিডনি অপেক্ষা সামান্য বড় এবং কিছুটা ওপরে থাকে। কিডনি হলো শরীরের পরিশোধনাগার।
প্রতিদিন কিডনি প্রায় ২০০ লিটার রক্ত শোধন করে দুই লিটার রেচন পদার্থ মূত্র থলিতে জমা করে, যা মূত্রাকারে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
কিডনি তার ছাঁকনির মাধ্যমে রক্তকে পরিশোধিত করে অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দিয়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
যদি কোনো কারণে কিডনি রক্ত থেকে সেই দূষিত পদার্থ অপসারণ করতে না পারে, তবেই শরীর নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিডনির ব্যথা কোথায় হয়
কিডনিজনিত ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাম পাশে হয়। এটি পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হওয়ার কথা।এই ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথা থেকে থেকে আসে, শোয়া-বসা বা কোনো কিছুতেই আরাম মেলে না।
★ কিডনি সমস্যায় ব্যথা মূল উপসর্গ নয়, এতে শরীরে পানি আসা, দুর্বলতা, অরুচি, বমির ভাব দেখা দেয়।
★সংক্রমণ হলে জ্বর হতে পারে এই ব্যথার সঙ্গে।
★ প্রস্রাব ঘোলাটে হয়, দুর্গন্ধ বা রক্ত থাকতে পারে।
★প্রস্রাবের পরিমাণ কম-বেশি হয়। রক্তশূন্যতা থাকতে পারে।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
★প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতা কমতে থাকলে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে।ক্ষুধামন্দা, শরীরে ওজন হ্রাস পাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে (হাত, পা, মুখ) পানি জমে ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, শরীরে ক্লান্তিভাব আসা।
ঘুম কম হওয়া, অসুস্থ বোধ করা, শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া, মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ ক্রনিক কিডনি ডিজিসের শেষ পর্যায়ে প্রকাশ পেতে শুরু করে।
কিডনি রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ। সুতরাং যাদের দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে।
তাদের নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও ওষুধ সেবন করা বাধ্যতামূলক, যেন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।
★নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন দ্রুত কমিয়ে ফেলতে হবে। যারা ধূমপান করে, তাদের জন্য ধূমপান ত্যাগ করার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে।
খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। রক্তে কলস্টেরল যেন সবসময় স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
তবে যাদের জ রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ফলমূল খাওয়া যাবে না। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং রুটিন চেকআপ করানো আবশ্যক।
কিডনি ইনফেকশন এর লক্ষণ এছাড়া আরো বিস্তারিত তথ্য আশা করি আপনারা এতক্ষণে জানতে সক্ষম হয়েছেন।
তাই আমি বলব রোগ তেমন একটি বড় কোন রোগ নয় যদি আপনি সঠিক নিয়ম পালন করতে পারেন এবং ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারেন।
তাই আজকের মতন আর্টিকেলটি আমি এখানেই শেষ করলাম আশা করব আপনারা সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।