সিজারের কতদিন পর বেলী ব্যান্ড পড়তে হয় এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে আজকে এই আর্টিকেলটি নিয়ে হাজির হলাম।
আশা করব আমার এই আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে কেননা সিজারের পরে অনেকেরই অনেক রকমের প্রশ্ন থাকে।
অনেকে অনেক বিষয়ের উপরে জানতে চায়, কেননা সিজেরিয়ান মায়েদের এবং শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক কিছু জানাটাই জরুরী।
আর না হলে একটি ভুলের কারণে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এজন্য আপনারা অবশ্যই অনেক বিষয়ের উপরে জানতে চান।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমার এই আর্টিকেলটি এছাড়াও আপনারা সিজারের বিষয় আরো কিছু জানতে চাইলে আমার অন্য আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন।
তাহলে চলুন আজকে এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
সিজারের কতদিন পর বেলী ব্যান্ড পড়তে হয়
সিজারের পর কোমরে বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে বেল ব্যবহারে কোনো সমস্যা নয় সার্জারির পর হাঁচি, কাশি ও টয়লেট ব্যবহার করার সময় বেল্ট ব্যবহার করা ভালো।
এতে হাঁটতে সুবিধা হয় এছাড়াও আরও অনেক রকমের সমস্যা থেকে মুক্ত পাওয়া যায় নরমাল ডেলিভারির পর একদিন পর থেকেই বেল পড়া যায়।
তবে সিজারের পরে সেলাই শুকানোর পর থেকেই বেল্ট পরা যায় দিনে 10 থেকে 12 ঘণ্টা করে অন্তত 40 দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা উত্তম।
সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায়
সিজারের পর খাবার তালিকা
আপনারা যারা সিজারের পরে সিজারিয়ান মায়েদের খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান তারা এখান থেকে খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন।
১ / দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য যেমন পনির যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ আমিষ বা প্রোটিন ভিটামিন ডি আছে।
যাকিনা মায়ের বুকের দুধ এর উপাদান ও পুষ্টি বজায় রাখবে এবং মায়ের সুস্থ ও দ্রুত সেরে ওঠার জন্য নিশ্চিত করবে।
এবং সিজার ডেলিভারি ক্ষত দ্রুত শুকাতে সহায়তা করবে মা যদি দুধ না খান তবে এ সময় মায়ের শরীর থেকে ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণ শিশুর দুধ চলে যাবে। এবং মায়ের হার্ড ক্যালসিয়াম হীন হয়ে পড়বে যা সহজেই যেকোন ফ্যাক্টর ঘটাতে পারে।
২ / প্রচুর তরল জাতীয় খাবার যা কিনা বাচ্চার জন্য দুধ উপাদান ও মায়ের সুস্বাস্থ্য ও অপারেশন পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে।
৩ / প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাকসবজি যেমন মালটা, কমলা, আপেল, যেকোনো মৌসুমী ফল এবং ফুলকপি, বাঁধাকপি, কলমি শাক, লাল শাক, যেগুলো প্রচুর ভিটামিন এ ও সি আয়রন ও ক্যালসিয়াম আছে।
৪ / গম খাবারের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এছাড়া এগুলোতে আছে আয়রন ফলিক এসিড ও ফাইবার যা কি-না মায়ের সুস্থতা ও অপারেশন পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে।
৫ / কালোজিরা যেটা কিনা মায়ের দুধ এর অবদান ও পরিমাণ বাড়ায় ডিম যা কিনা আমিষ ভিটামিন এ ও এবং এইচ ডি এল কোলেস্টেরল এর উৎস।
৬ / বাদাম যাতে আছে প্রচুর শতকরা ভিটামিন বি ভিটামিন ই ওমেগা 3 ফ্যাক্টরি
সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়
প্রসাবের আগে ও পরে নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে এর প্রভাবে অনেক কিছু বদলে যেতে শুরু করে।
তারই একটি হলো পিরিয়ড বা মাসিক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ।
ডাক্তার দিনে লায়লা হোসেন, মাসিকের সময় অনেক মায়ের রক্তের হয় যাতে অনেকে মাসিক মনে করে ভুল করেন আসলে এটা রক্ত আর মিউকাস।
গর্ভ অবস্থায় পুরো সময়টা নারীদের মাসিক বন্ধ থাকে প্রসাবের পরতা শুরু হতে কিছুটা সময় লাগে এ সময়ে লাগাটা যে সবার ক্ষেত্রে একই হবে তা নয়।
কিছু কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে প্রসাবের পর মাসিক শুরু হওয়ার একেকজনের একেক রকম হতে পারে।
সাধারণত ডেলিভারির কতদিন এর মধ্যে মাসিক হবে এটা নির্ভর করে মায়ের ওপরে মা কিভাবে বাচ্চাকে লালন পালন করছে, তার ওপর নির্ভর করে।
যদি মা বাচ্চাকে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিটিং কড়াই রাতে দুই বা তার বেশি বার খাওয়ায় তাহলে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত মাসিক নাও হতে পারে।
তবে এসময় পাশাপাশি কন্ট্রাসেপশন নিতে হবে অনেক ক্ষেত্রেই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রে দুই তিন মাস পরে হতে পারে মাসিক, সুতরাং এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার বিষয় না।
তবে কোনটা ভালোভাবে নিতে হবে বলে রাখি এ সময়টা কারো কারো ক্ষেত্রে আঠারো মাস থেকে 2 বছরের থাকে এক্ষেত্রে আমরা বলে থাকি বাচ্চার বয়স 6 মাস পার হলে পিল খাবেন।
এটা শুরু করলে দেখবেন আপনার নিয়মিত মাসিক শুরু হয়ে যাবে।