জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি কাগজ লাগবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আমাদের অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন কার্ডে এবং ভোটার আইডি কার্ডে অনেক রকমের ভুল থাকে, এই ভুলগুলো কিভাবে সংশোধন করতে হয় এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা।
তাই আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরব আপনি কিভাবে খুব সহজেই আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারেন।
তাই আপনারা যারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখে নিবেন হয়তো এর থেকে কিছুটা হল আপনাদের উপকৃত হবে।
তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক আমরা শুরুতেই যে বিষয়ে জানব:
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি কাগজ লাগবে?
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র দরকার হবে:
১। জন্ম নিবন্ধন সনদের ওপর প্রতিপত্তি বা উত্তরণ করতে হবে।
২। জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও নামজারি অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের কোন একটি অবশ্যই দরকার হবে।
৩। সংশোধিত হওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদের নতুন সংস্করণ কিংবা কপি লাগবে।
৪। সরকারি পরিচালিত যেকোন একটি পরিচয়পত্র লাগবে যেমন পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
৫। আবেদনকারীর ছবি লাগবে।
৬। যদি প্রয়োজন হয়, তবে প্রমাণিত করতে হবে যে সংশোধিত হওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদে কোনও তথ্য নতুন করে সংযুক্ত করা হয়নি।
প্রয়োজন অনুযায়ী আরও কাগজপত্র লাগতে পারে। তবে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে উপরে উল্লিখিত কাগজপত্রগুলি যথাযথ হব
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের পর কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তিত সংস্করণ প্রদান করা হয়ে যায়। তবে কিছু স্থানে এই প্রক্রিয়া আরও সময় লাগতে পারে।
পরিবর্তিত সংস্করণ প্রাপ্ত করতে আপনাকে নিকটবর্তী জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে হবে এবং প্রয়োজন হলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
কিছু দক্ষিণ এশিয়ান দেশে সংশোধন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি প্রকারের কাগজপত্র দাখিল করতে হতে পারে। তারা সাধারণত এই তথ্যগুলি দরকার হয়।
১। জন্ম নিবন্ধন সনদের কোন একটি কপি।
২। সংশোধিত হওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদের নতুন সংস্করণ কিংবা কপি।
৩। আবেদনকারীর পরিচয়পত্র যেমন পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
৪। আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ করতে প
৫। জন্ম তারিখ প্রমাণ করতে পারে এমন কোন একটি কাগজপত্র যেমন স্কুল কর্টিফিকেট, মার্কশীট, কলেজ কর্টিফিকেট ইত্যাদি।
৬। জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার জন্য প্রয়োজন হলে, আবেদনকারীর মূল্যবান কোন একটি পরিচয়পত্র যেমন পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
উপরের কাগজপত্রগুলি সংগ্রহ করার পর আবেদনকারী সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানের জন্য নিকটবর্তী জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে পারেন।
আবেদনকারীর পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্রগুলি নিশ্চিত করে নিতে হবে যেন এগুলি সম্পূর্ণ এবং সঠিক। এরপর আবেদনকারীকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে টাকার পরিমাণ দেশের নিয়মাবলী এবং সরবরাহকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
বাংলাদেশে, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য কমপক্ষে ৫০ টাকা লাগতে পারে, তবে এটি সংশোধনের ধরণ এবং উপকরণের উপর ভিত্তি করে বাড়তে পারে।
আপনি নিকটবর্তী জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে যাওয়ার আগে সেখানে যে প্রকল্পটি আপনি সংশোধন করতে চান তা জানতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়মগুলি দেশ থেকে দেশে পরিবর্তণ করতে পারে তবে কিছু প্রমুখ নিয়মগুলি একই থাকে যা একটি দেশে সমস্ত নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য।
এই নিয়মগুলি মূলত স্থানীয় জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় এবং জন্ম নিবন্ধন আইন অনুসারে সংশোধন করা যেতে পারে।
যে কোনও সময় নাগরিক তাঁর জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারেন। সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য একটি ফরম পূরণ করতে হবে।
এবং একটি বিদ্যমান জন্ম নিবন্ধন সনদ সহ কিছু দক্ষতা প্রমাণপত্র সংযোজন করতে হবে। আমাদের দেশে, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত কথাগুলি প্রযোজ্য হয়:
১. জন্ম নিবন্ধন সনদ।
২. আবেদনকারীর পরিচয়পত্র।
৩. আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা সংশোধনের জন্য যেকোনও প্রমাণপত্র যেমন আধার কার্ড, পাসপোর্ট এবং এনআইডি কার্ড এর কোনও একটি সংযোজন করতে হবে।
৪. যদি স্থায়ী ঠিকানার ঠিকানাপত্র সংশোধিত হয়ে থাকে তবে এটি সহজতমভাবে যাচাই করতে হবে।
৫. আবেদনকারীর বর্তমান বয়স প্রমাণ করতে হবে। এটি সহজতমভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা এখনও কোনও অভিভাবকের মাধ্যমে যাচাই করা যেতে পারে।
উপরের সব দক্ষতা সংশোধন করার পরে আবেদনকারী জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চাইলে জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে হবে এবং ফরমটি জমা দিয়ে দিতে হবে।
সাধারণত জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় সংশোধিত সনদ প্রদান করে যা নিবন্ধনকারীর স্থায়ী ঠিকানার নাম এবং বয়স সংশোধনের তারিখ সংযোজিত থাকে।
যদি সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ আবেদনকারীর কাছে না পৌঁছে থাকে তবে তিনি একটি নিবন্ধনকারী সনদ পেতে পারেন।
এই সনদে তার বর্তমান বয়স প্রমাণ করা হয়। এছাড়াও তিনি তাদের পছন্দের জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে যাত্রা করে একটি সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে পারেন।
এছাড়াও অন্যান্য দক্ষতাগুলির পাশাপাশি অনেকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও কিছু প্রমাণপত্র সংযোজন করতে হবে এবং তার সঠিকতা যাচাই করা হবে।
এইভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম এবং পদক্ষেপ অনুসরণ করে আবেদনকারীর বয়স সংশোধন করা যায়।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপসমূহ অনুসরণ করুন।
১। প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধনের অনুমতি পত্র ও আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি সংগ্রহ করুন।
২। নিকটবর্তী স্থানীয় কার্যালয়ে যান বা জন্ম নিবন্ধন অফিসে যান।
৩। সংশোধনের আবেদন ফরম পান এবং পূর্ণ করুন। আবেদন ফরমে নতুন তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রবেশ করান।
৪। আবেদন ফরমে নতুন ফটো আপলোড করুন যদি আপনি ফটো পরিবর্তন করতে চান।
৫। সব কাগজপত্র সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আবেদন ফরমটি জমা দিন।
৬। সফলভাবে আবেদন জমা দেওয়ার পরে, স্থানীয় অফিস থেকে আপনাকে একটি নতুন জন্ম নিবন্ধন প্রদান করা হবে।
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান, তবে আপনি আপনার প্রদত্ত তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে লগইন করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন।
এই আবেদনপত্রে আপনাকে পূর্বের জন্ম নিবন্ধনের বিশদ তথ্য সম্পর্কে প্রদান করতে হবে এবং যেকোনো নতুন তথ্য প্রবেশ করতে হবে। আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনার আবেদনটি সাবমিট করতে হবে।
আবেদন জমা দেওয়ার পরে, স্থানীয় অফিস অথবা ওয়েবসাইট থেকে অবগত হবেন যদি কোনো অতিথি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তথা আপনার আবেদনপত্রটি যাচাই করতে হয়। পরবর্তীতে, নতুন জন্ম নিবন্ধন প্রদান করা হবে।
তবে সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য ও সঠিক জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সর্বদা সেবা দেওয়া হবে স্থানীয় অফিসে যেখানে আপনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন এবং যেখানে প্রয়োজন হলে সহায়তা পাওয়া